ফিরে এলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। দীর্ঘদিন পর মুক্তি পেয়েছে তার নতুন গান, ‘হোল্ড মি ক্লোসার’, যেখানে ব্রিটনির সহশিল্পী হিসেবে আছেন এলটন জন। ব্রিটনির ফিরে আসাকে স্বাগত জানাচ্ছেন ভক্তরা। কারণ ব্রিটনি ফিরলেন অনেক দিন পর। ২০২১ সালে তার কনজারভেটরশিপ বাতিল করার পর এটি তার মুক্তি পাওয়া প্রথম গান। আরও হিসেব করে বলতে গেলে, ২০১৬ সালের পর এটি তার প্রথম সিঙ্গেল। গানটি মুক্তি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আইটিউনসে ৩০টি দেশে গানটি বিক্রি তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
এর আগে কনজারভেটরশিপের অধীনে ১৩ বছর ধরে ব্রিটনি স্পিয়ার্স বিভিন্ন মিউজিক ট্যুরের পাশাপাশি লাস ভেগাসে একটি বসতবাড়ি করেছিলেন। কিন্তু এরপর তিনি ‘ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করানো’র অভিযোগ করেন। গত গ্রীষ্মে এ অভিযোগের পর বাবা জেমি স্পিয়ার্সের বিরুদ্ধে মামলা লড়তে হচ্ছে তার। জেমিই ব্রিটনির ম্যানেজার ও অন্যান্য বিষয়-আশয় দেখাশোনা করতেন। এ মাসে বিচারক ব্রিটনির পক্ষে রায় দিয়েছেন এক মাস জেমি কোনো বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
তবে মামলা এখনো চলছে। ব্রিটনির অ্যাটর্নি ম্যাথু রোজেনগার্ট সে মামলা পরিচালনা করছেন। আপাতত ব্রিটনি স্পিয়ার্স তার স্বাধীনতা উপভোগ করছেন। অন্যদিকে স্যাম আসগারির সঙ্গে বিয়ের পর তিনি নতুন কাজের সঙ্গেও যুক্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে এলটন জনের সঙ্গে রেকর্ডিংয়ের পাশাপাশি আরো কিছু কাজ তার হাতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সন্তানের জন্য দৈনন্দিন রুটিন, ঘুম সব বদল গেছে। তবে সময়টা ভালো যাচ্ছে: নওশীন
এর মধ্যেই হোল্ড মি ক্লোসার মুক্তি পেতে না পেতে ব্রিটনির ভক্তমহল তাকে বরণ করে নিয়েছে। আগে থেকেই তারা ‘ফ্রি ব্রিটনি’, ‘জাস্টিস ফর ব্রিটনি’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে ব্রিটনির সমর্থনে নেমেছিলেন। এবার ‘ওয়েলকাম ব্যাক ব্রিটনি’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রিয় শিল্পীকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তারা। বহুদিন পর কাজে ফিরে ব্রিটনিও খুশি। খুশির আরেক কারণ এলটন জনকে সহশিল্পী হিসেবে পাওয়া। ব্রিটনি বলেন, ‘ব্যাপারটা খুবই চমত্কার, আমি আমার সময়ের অন্যতম অসাধারণ মানুষটির সঙ্গে গাইছি। এটা আমার জন্য একটা বড় ব্যাপার। আমি অভিভূত।’
ব্রিটনির ফিরে আসায় স্যার এলটন জনও আনন্দিত। গার্ডিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘ডেভিড ফার্নিশ আমাকে বলেছিল ব্রিটনির সঙ্গে দ্বৈত গান গাইতে। লোকে ভেবেছিল ব্রিটনি আর গাইতে পারবেন না। কিন্তু তিনি চমত্কার গেয়েছেন। ব্রিটনির সঙ্গে গলা মিলিয়ে আমি আনন্দিত।’
রোববার সন্ধ্যায় ব্রিটনি ২২ মিনিটের একটি অডিও বার্তা দিয়েছেন। ইউটিউবে আপলোড করা ব্রিটনির একটি ক্লিপে কোনো ভিডিও ছিল না, শুধু তার কথা শোনা গিয়েছে। ব্রিটনি বলেন, ‘কনজারভেটরশিপের সময়টা তিনি পুরোপুরি পরাধীন ছিলেন। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আমি কেবল শো করে অর্থ উপার্জন করেছি। আমার বয়স ৩০ কিন্তু আমাকে চলতে হয়েছে বাবার বাঁধাধরা নিয়মের মধ্যে।’ এসব কারণে প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন ব্রিটনি। তিনি বলেন, ‘ভক্তরা পক্ষে থাকলেও তার মা ও বোন তার পক্ষে কোনো পদক্ষেপই নেননি।’ তবু শেষ অবধি কনজারভেটরশিপ থেকে মুক্তি পেয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন এ গায়িকা।