বাংলাদেশের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের প্রথমবারের মতো কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সিনেমাটি আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে। সিনেমার প্রচারণার জন্য অপু বিশ্বাস বর্তমানে কলকাতায় আছেন। কলকাতায় অপু বিশ্বাসের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে দ্যা ডেইলি স্টার।
কলকাতায় কীভাবে সময় কাটছে?
প্রচণ্ড ব্যস্ততা যাচ্ছে। কলকাতায় অনেকবার এসেছি, কিন্তু সিনেমা মুক্তির জন্য এবারই প্রথম। এখানে আসার পর আজকের শর্টকাট সিনেমার পোস্টার উন্মোচন হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারভিউ দিচ্ছি। টিভি চ্যানেলে কথা বলছি। অনলাইন নিউজ পোর্টালের সঙ্গে কথা বলছি। সবমিলিয়ে সিনেমার প্রচারের জন্য অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি।
নায়িকা হিসেবে দেশের বাইরে কোন কথাটি বেশি শুনতে হচ্ছে?
সবারই এক কথা, এত পরে কেন কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করেছি। আরও আগে কেন কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করিনি। এসব প্রশ্ন আমাকে বেশি করা হচ্ছে। সাংবাদিকরাও এই প্রশ্ন করেছেন। আমি তাদের বিনয়ের সঙ্গে বলেছি কলকাতার সিনেমার অফার অনেক আগেই পেয়েছি। কিন্তু, ঢাকার সিনেমা নিয়ে তখন এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে শিডিউল বের করা সম্ভব হয়নি। সেজন্য দেরি হয়েছে। খুশির খবর হচ্ছে করেছি তো।
এছাড়া যেখানেই যাচ্ছি, সবাই বলছেন- আপনাকে চিনি তো, আপনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা। এই কথাটিও একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমাকে খুব মুগ্ধ করেছে। শিল্পী হয়ে বেঁচে থাকার সাফল্য বুঝি এমনই। কলকাতার মানুষ আমাকে চেনেন এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।
আজকের শর্টকাট সিনেমার নতুনত্ব কি?
আজকের শর্টকাট সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সুবীর মণ্ডল। অসম্ভব গুণী একজন পরিচালক। অনেক জানাশোনা মানুষ। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। বড় কথা হচ্ছে সুবীর মণ্ডল একজন ভালো মানুষ। এই সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম নারগিস। সিনেমার সবকিছুই নতুন। নতুন গল্প। নতুন ভাবনার সিনেমা। অফট্রাকের সিনেমা, দর্শকরা নতুন গল্পের একটি সিনেমা দেখবেন।
বাংলাদেশেও কি মুক্তি পাবে সিনেমাটি?
আজকের শর্টকাট বাংলাদেশেও মুক্তি পাবে, প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। এদেশে মুক্তি পেলে এখানকার ভক্ত ও দর্শকরা হলে গিয়ে দেখতে পারবেন।
কলকাতায় যাওয়ার পর আপনাকে বেশি টানে কী?
কলকাতার ফুচকা আমাকে বেশি টানে। কলকাতায় ফুচকার প্রেমে পড়েছি। কলকাতার নিউমার্কেটের ফুচকা আমার ভীষণ পছন্দ। এখানে আসা মানেই ফুচকা খাওয়া। এবারও খেয়েছি।
ঢাকাই সিনেমার খরা কি কাটবে…
অবশ্যই কাটবে। ইতোমধ্যে খরা কাটতে শুরু করেছে। ২টি সিনেমাতো রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। এভাবেই নতুন নতুন সিনেমা এসে সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনবে। আমি অন্তত তাই বিশ্বাস করি।
ওটিটি কি সিনেমার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে?
আমার তা মনে হয় না। সিনেমার আবেদন অন্যকিছুতে হবে না। হলে গিয়ে সিনেমা দেখার আনন্দ অন্য কিছু দিয়ে সম্ভব না। ওটিটি দর্শকরা দেখছেন। অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু, সিনেমার আবেদন বিশ্বজুড়ে। প্রয়োজন শুধু ভালো গল্প।