করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থী) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শিশুদের টিকা দান শুরু হয়, চলবে একটানা বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
করোনা প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষ টিকা দেওয়া হবে। ৩০ জুলাই শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। ইতোমধ্যে টিকা দেওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কর্তৃক শিশুদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম কর্মপরিকল্পনায় এ তথ্য উল্লেখ করা হয়। চট্টগ্রামে বুধবার দুপুরে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। নগরীর মিউনিসিপ্যাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী শিশুদের টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের ধর্মঘট: চট্টগ্রামের ২৩ বাগানে ১১ দিনে ক্ষতি ২১ কোটি টাকা
উদ্বোধনের দিন সব মিলিয়ে ৩০০ শিক্ষার্থীকে ওই স্কুলে টিকা প্রয়োগ করা হয়। আজ বৃহষ্পতিবার (২৫ আগস্ট) থেকে সিটি কর্পোরেশন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পুরোদমে এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদান সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হলেও প্রাথমিকের শিশু শিক্ষার্থীদের এ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে চসিকের তত্ত্বাবধানে। স্কুলে স্কুলে গিয়েই শিশুদের এ টিকা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চসিক।
চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. নাসিম ভূঁইয়া বলেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে চারটি টিম বৃহস্পতিবার (আজ) থেকে এ টিকা প্রয়োগ করবে। প্রতি টিমে দুজন করে টিকাদান কর্মী থাকবেন। সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে সবমিলিয়ে ১৬৪টি টিম টিকা প্রয়োগে কাজ করবে।
শিশুদের প্রথম ডোজ টিকাদানে মন্ত্রণালয় থেকে ১২ দিনের একটি সময়সীমা উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একই সাথে টিকা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক, কিন্ডার গার্টেন ও মাদ্রাসাসহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সবমিলিয়ে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী এ টিকা পাবে।
বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশ সরকার দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে ২৫ আগস্ট থেকে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদানের আওতায় আনতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে এ শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
পরে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভাসমূহের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে এ টিকা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে শিশুদের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে।