মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমরিাতে মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। টি-টুয়েন্টি সংস্করণের এ টুর্নামেন্টে এবার প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে ছাড়াই খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। সোমবার (২২ আগস্ট) বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, এশিয়া কাপ ছাড়াও অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠেয় আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ টি২০ দলের কোনো হেড কোচ থাকবে না। জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো শুধু ওয়ানডে ও টেস্ট দল নিয়ে কাজ করবেন। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বোর্ডসভায় এ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
দুদিন আগেই ভারতীয় কোচ শ্রীরাম শ্রীধরণকে টি২০ দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট নিয়োগ করে বিসিবি, রোববার তিনি ঢাকায় পৌঁছে কাজেও নেমে পড়েছেন। আসন্ন এশিয়া কাপ টি২০ আসরে তার অধীনেই খেলবে বাংলাদেশ। হেড কোচ হিসেবে না থাকলেও তিনিই মূলত দলকে গাইড করবেন, গেম প্ল্যান দেবেন।
বাংলাদেশ টেস্ট ও টি২০ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আসন্ন এশিয়া কাপ টি২০ আসরে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করেন না। মিথ্যা স্বপ্নও দেখাতে চান না। তিনি এই সংস্করণে শুধু ধারাবাহিকতা নিয়ে আসতে চান, যাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্ব ক্রিকেটের একটি শক্তি হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ টি২০ খেলতে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) আরব আমিরাত রওনা হবে বাংলাদেশ দল।
এদিকে আজ সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন বাংলাদেশ দলনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি যে, মানুষ এখন আমাদের থেকে বেশি আশা করে না। এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে টি২০তে যেহেতু আমাদের রেকর্ডটাই ভালো নয়।
এশিয়া কাপ ফাইনাল খেলার আশা করেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য কঠিন। গত এক-দেড় বছরে আমরা যা করেছি যেখান থেকে যদি উন্নতি করতে পারি, তবে সেটাই হবে আমাদের অর্জন। আমাদের সুপার ফোরে খেলা উচিত, তবে আমরা টুর্নামেন্টের আগে যদি লক্ষ্য নির্ধারণ করি এবং সেভাবে ফল করতে না পারি, তবে আপনারাই বলবেন, আমরা বড় কথাই বলি, কিন্তু লক্ষ্য অর্জন করতে পারি না। আমাদের বরং ড্রেসিংরুমেই লক্ষ্যটা নির্ধারণ করতে দিন। আমরা এখানে তা আলোচনা করতে চাই না।
নতুন টি২০ অধিনায়ক সাকিব এই ফরম্যাটে দলের উন্নতি চান। তিনি চান পারফরম্যান্সের গ্রাফটা উর্ধ্বমুখী হোক। তার কথায়, আমরা যেভাবে ক্রিকেট খেলি সেটাকে পাল্টে ফেলতে চাই না, বরং আমাদের যে রিসোর্স আছে তা ভালোভাবে ব্যবহার করাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি আমরা ভালো একটি দল এবং অতীতে ভালো করেছিও। তবে আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে। আমাদের জিততে শুরু করতে হবে, আর যদি নাও পারি তবে যেন লড়াই করে শেষ কয়েক বলে হেরে যাই। তখন মানুষ বুঝতে, আমরা অন্তত উন্নতি করছি। আমরা এখন প্রথম ইনিংসেই কিংবা দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম দশ ওভারের মধ্যে হেরে যাই। আমি এমনটা চাই না।
সাকিব এবারের এশিয়া কাপের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ না করে বরং আগামী চার বছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে চান, যে সময়ের মধ্যে দলের উন্নতি হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই দলের উন্নতির গ্রাফ উপরের দিকে উঠুক। আমরা যদি এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হই এবং এরপর বিশ্বকাপে খারাপ করি কিংবা নিউজিল্যান্ডে গিয়ে সিরিজ হারি, তবে কোনো লাভ নেই। আমাদের বরং ধীরে ধীরে উন্নতির চেষ্টা করতে হবে, যাতে আমরা ২০২৪ ও ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা দল হয়ে উঠতে পারি। ভারত তো সেই ২০০৭ সালে একবার টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছে, কিন্তু প্রতিবার বিশ্বকাপ এলেই তারা অন্যতম ফেভারিট থাকে। আমি মনে করি, এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।