বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা অন্যের আনুকূল্যে টিকে থাকে তাদের দেশ শাসন করার অধিকার নেই। ফখরুল বলেন, সরকার এক দিকে যখন মেগা প্রজেক্টের কথা বলে বাহবা নিতে চায়; পদ্মা সেতুর ওপরে গিয়ে ছবি তোলে তখন তাদের মধ্যে আত্মতুষ্টির সৃষ্টি হয়। সেই আত্মতুষ্টির মধ্য দিয়ে তারা প্রমাণ করতে চায় বাংলাদেশ উন্নয়নের শিখরে চলে গেছে। তারা বলতে শুরু করে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের সাধারণ মানুষ না খেয়ে থাকছে এবং দারিদ্র্যের সংখ্যা এখন শতকরা ৪২ ভাগ। একটা বিরাট অংশের মানুষ দুবেলা খেতে পায় না। এটা আমার কথা নয়, গবেষকদের কথা।
তিনি বলেন, আজকে একটা লুটেরা এলিট শ্রেণি ভালো আছে। এরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা পর্যন্ত; আমলা, আমি দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, আরও আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু উচ্ছিষ্টভোগী শিক্ষক, কিছু বুদ্ধিজীবী। তারা যখন টক শোতে কথা বলেন, মনে হয় মোমেন সাহেব যে বলেছেন—’বেহেশতে আছি’ এটা অমূলক কোনো কথা নয়। তারা প্রমাণ করতে চান আসলেও মানুষ বেহেশতে আছে। এক কথায় বলা যায়, এই সরকার হচ্ছে লুটেরাদের সরকার। এই সরকারের সঙ্গে মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। এই সরকার এই রাষ্ট্রকে ইতোমধ্যে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। বিদ্যুতের লোডশেডিং, তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ইউট্যাব এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তার প্রমাণ তারা একে একে দিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ যুদ্ধ করে নিজেদের স্বাধীন করেছে এবং নিজেদের স্বাধীন বলে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করে তখন আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সরকারকে বলেন, সাহায্য করবেন শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। অর্থাৎ তারা এ কথা বলতে চান যে, ভারত সরকারের আনুকূল্যে এই সরকার টিকে আছে। আমি কালকেও তাদের বলেছিলাম, এটা ব্যাখ্যা আমরা জানতে চাই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন্তু তার জায়গা থেকে সরে আসেননি। তিনি একটি বক্তব্য দিয়েছেন এবং সেই বক্তব্যে তিনি আবারও ওটাই নিশ্চিত করেছেন।
সুতরাং আমাদের বুঝে নিতে হবে, পরিষ্কার ভাষায় বলতে হবে যারা অন্যের আনুকূল্যে টিকে থাকে তাদের এ দেশ শাসন করার কোনো অধিকার নেই। তাদের এ দেশের সরকারে যাওয়ার কোনো অধিকার নেই, বলেন বিএনপি মহাসচিব।