নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি নং ৪ -এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূমের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমবঙ্গ-উত্তর উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে গত মধ্যরাতে (১৯ আগস্ট) উপকূলীয় পশ্চিমবঙ্গ-উত্তর উড়িষ্যা এলাকায় গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। গভীর স্থল নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
ফলে গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসার ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।