দীর্ঘ সাড়ে তিনমাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কাপ্তাই হ্রদে আবারো মৎস্য আহরণ শুরু হয়েছে। মৎস্য আহরণের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ার পর কাপ্তাই হ্রদে আজ বৃহষ্পতিবার (১৮ আগস্ট) থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে মৎস্য আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ।
বুধবার মধ্যরাত থেকে আবারো মৎস্য আহরণ শুরু হওয়ায় খুশি মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা। খবর বাসসের।
রাঙ্গামাটির মৎস্য ব্যবসায়ী উদয়ন বড়ুয়া বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি। আশা করছি এবার হ্রদে আগের তুলনায় আরো অনেক বেশী মাছ আহরণ করতে পারবো।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় আবারো পুরোদমে হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, এবার হ্রদের পানি কম থাকায় মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে হ্রদের পানি বাড়ায় সার্বিক দিক বিবেচনা করে এখন হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হয়েছে। তিনি নিয়ম মেনে হ্রদে মাছ আহরণের জন্য মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেদের প্রতি আহবান জানান।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে দুর্ঘটনা: গেটম্যান ও মাইক্রো চালককে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন
রাঙ্গামাটি বিএফডিসির তথ্যমতে, গত বছর কাপ্তাই হ্রদে ১৭ হাজার ৮৭০ টন মৎস্য আহরিত হয় এবং সেখানে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এবার ২০২২ সালে কাপ্তাই হ্রদে ৬৪ টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
এবার প্রত্যাশিত পরিমাণে মাছ আহরণের মাধ্যমে গতবারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা বিএফডিসি কর্তৃপক্ষসহ সাধারণ ব্যবসায়ীদের।
উল্লেখ্য,১৯৬০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কর্ণফুলী নদীর ওপর বাঁধ দেয়া হয়। এতে ৭২৫ বর্গকিলোমিটার দৈর্ঘর এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টি হয়। এই হ্রদে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন প্রায় ২৫হাজার জেলে পরিবার।