চট্টগ্রামের চন্দনাইশে একটি ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দেওয়ার সময় স্বনামধন্য একজন আলেমের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈন উদ্দিন আশরাফী।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাতে চন্দনাইশের মুহম্মদপুর এলাকায় মাহফিল চলাকালে প্রকাশ্যে স্লোগান দিয়ে তাঁর উপর হামলা করে উগ্রপন্থী কিছু লোক। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি বক্তব্য শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই কিছু লোক স্লোগান দিতে দিতে মঞ্চে ওঠে পড়েন। এ সময় আয়োজকরা বক্তাকে রক্ষার চেষ্টা করলেও হামলাকারীদের কাছ থেকে নিরাপত্তা দিতে পারেননি।
আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈন উদ্দিন আশরাফীর অনুসারীরা এটিকে চিহ্নিত গোষ্ঠীর পরিকল্পিত হামলা বলে উল্লেখ করেন। তারা হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। নেতৃবৃন্দ তার ওপর উত্তেজিত হয়ে হামলায় এগিয়ে আসার পেছনে দুরভিসন্ধি আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখার দাবি করেন। শনিবার (১৩ আগস্ট) আহলে সুন্নাতের দপ্তর সচিব মুহাম্মদ আবদুল হাকিমের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে নেতারা এ দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রবীণ এ আলেমেদ্বীনের ওপর হামলা প্রচেষ্টা এজিদি নগ্ন চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। চন্দনাইশের মুহম্মদপুর এলাকায় মাহফিল চলাকালে প্রকাশ্যে স্লোগান দিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড দালিলিক প্রমাণের বিপরীতে এজিদি চেতনার লালিত কর্ম ও আদর্শের প্রতিচ্ছবি। যারা এ ঘৃণ্য কাজ করেছে তারা কখনও সুন্নিদের বন্ধু হতে পারে না। তারা দেশ ও জাতির শত্রু।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ অসিয়র রহমান আলকাদেরী, মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ সোলাইমান আনসারী, সিরাজুল আমিন রেজভী, মহাসচিব সৈয়দ মসিহুদ্দৌলা, নির্বাহী মহাসচিব মুফতি আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক, সাংগঠনিক সচিব অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ঈসমাইল নোমানী, অর্থ সচিব এডভোকেট সৈয়দ মুখতার আহমদ সিদ্দিকী প্রমুখ।