এবার চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

এবার চিনির দাম বাড়াতে চাইছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। বাজারে ডলারের দাম বেড়ে আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়ায় চিনির মূল্য বাড়াতে চায় সংগঠনটি। এ জন্য ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে নতুন দর নির্ধারনের আবেদন করা হয়েছে। তবে নতুন মূল্য কত হতে পারে সে ব্যাপারে কোনো সুপারিশ করা হয়নি।

মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রতি ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রার ৩০ টাকার মতো অবমূল্যায়ন হয়েছে। ডলারের তেজিভাবের কারণে চিনিতে শুল্কায়নের পরিমাণও বেড়ে গেছে। যে কারণে দাম বাড়াতে চাইছে তারা।

তবে, খুচরা বাজারে অনেক আগেইবিাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার আগে খুচরায় প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হতো ৭৮ টাকায়, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়।

টিসিবিও সেটা স্বীকার করে নিয়েছে। টিসিবির শুক্রবারের তথ্য মতে, গত দুই দিনে বাজারে খোলা চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা করে বেড়েছে। গত সপ্তাহে চিনি কেজি প্রতি ৮০ টাকা থেকে ৮২ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছিল, এখন সেটা ৮২ টাকা থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

চিনি রিফাইনার্স সমিতির চিঠিতে বলা হয়, চিনি পরিশোধনকারী কারখানাগুলো বিলম্বে মূল্য পরিশোধের সুবিধা নিয়ে ঋণপত্র খুলে থাকে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দেরিতে মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে; ফলে বিপুল লোকসান গুণতে হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে।

ঋণপত্র খোলার সময় ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৩ টাকা থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে ছিল। কিন্তু এখন সেসব এলসির মূল্য পরিশোধের সময় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আমাদের কাছ থেকে প্রতি ডলার ১১৫ টাকা পর্যন্ত বিনিময়মূল্য নিচ্ছে।

চিঠিতে বলা হয়, আগে যেখানে প্রতি টন চিনি আমদানিতে শুল্ক ছিল ২২ হাজার টাকা থেকে ২৩ হাজার টাকা, এখন দিতে হচ্ছে ২৮ হাজার টাকা থেকে ২৯ হাজার টাকা। এতে পরিশোধনের পর প্রতি টন চিনির মিলগেট দাম দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ টাকা থেকে ১ লাখ পাঁচ হাজার টাকা।

অথচ বর্তমানে প্রতি টন চিনির মিলগেট মূল্য ৭৮ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা নির্ধারিত রয়েছে।

অন্যদিকে নতুন আমদানি শুল্ক অনুযায়ী প্রতি মণ চিনির মিলগেট মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৩ হাজার ৭০৩ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮৮৮ টাকা। অথচ বর্তমানে প্রতি মণ চিনি ২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে থেকে ২ হাজার ৯২০ টাকায় নির্ধারিত আছে।

এই পরিস্থিতিতে খরচ অনুযায়ী দাম না বাড়ালে কারখানাগুলো ‘দেউলিয়া’ হয়ে যাবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। চিনির মূল্য বৃদ্ধি ছাড়াও ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য নির্ধারণ, পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ ও আমদানি শুল্ক মওকুফের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.