রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আঁচ পড়েছে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি গুগলের ওপর। রাশিয়া দাবি করেছে, গুগলের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া খবর ও বিভিন্ন বানানো ভিডিও সম্প্রচার করছে। যার কোনও ক্ষমা হয় না। আর সমস্ত ভিডিওতে দেখানো হচ্ছে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসন।
এই কারণেই জুলাই মাসে দু’বার গুগলের বিরুদ্ধে জরিমানা করেছে রাশিয়া। যার পরিমাণ প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রথমবার করা হয় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয়বার ৩০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক জরিমান করে পুতিনের দেশ। মোট ৩৮০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হল সংস্থাটি।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিষিদ্ধ তথ্য মুছে ফেলতে ব্যর্থ হওয়ায় গুগলকে এই জরিমানা করা হয়। গুগলকে আগে থেকেই ওই তথ্যগুলো মুছে দিতে বলছিল রুশ কর্তৃপক্ষ। তবে গুগল তা তাদের সার্চ থেকে সরায়নি। এর ফলেই কোম্পানিটিকে এই বড় অংকের জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
এর আগে রাশিয়ার ইন্টারনেট এবং গণমাধ্যম পর্যবেক্ষনকারী সংস্থা রোসকোমনাদজর ইউটিউব থেকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সকল ‘ভুয়া খবর’ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর মোট ১৭ বার গুগলকে সাবধান করে বার্তা দিয়েছে রোসকোমনাদজর।
রাশিয়ার একটি গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, ইউটিউব তাদের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্রমাগত ভুয়া ভিডিও ছড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ান অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল পশ্চিমারা। এবার পাল্টা জবাব দিচ্ছেন পুতিন।
উল্লেখ্য, জুন মাসে রাশিয়ার এক আদালত নিয়মলঙ্ঘন করায় গুগলকে ১৫ মিলিয়ন রুবল জরিমানা করে। সাথে এ আদেশও দেয়া হয় – গুগলকে রাশিয়ার স্থানীয় অঞ্চলের খবর দেখাতে হবে।
গুগলের এক মুখপাত্র জানান, আমরা আমাদের আগামীতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অফিসিয়াল নির্দেশগুলি মান্য করব।
রাশিয়া ফেসবুক, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম সহ একাধিক মার্কিন অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। ভবিষ্যতে ইউটিউব রাশিয়ার নিয়ম না মানলে, তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।