কাতার বিশ্বকাপ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ফিলিপ লাম। কারণ কাতার মানবাধিকতার লঙ্ঘনের তালিকায় শীর্ষ পর্যায়ে থাকা একটি দেশ। ফিফার প্রতিনিধি কিংবা দর্শক হিসেবে তিনি কাতারে গিয়ে বিশ্বকাপ দেখবেন না বলে জানিয়েছেন।
কখনও বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়া কাতারকে বিশ্বকাপের স্বত্ব দেওয়ায় ফিফার সমালোচনা করেছেন অনেকে। ফিফা র্যাঙ্কিং-এ ১১৩ নম্বরে থাকা দেশকে বিশ্বকাপের আয়োজক করার মাধ্যমে তাদের অর্থের কাছে ফিফা নতি স্বীকার করেছে বলেও সমালোচনা রয়েছে।
ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক এবং জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের ২০২৪ ইউরো আয়োজনের টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর লাম বলেছেন, আমি কাতারে যাব না। বিশ্বকাপ ঘরে বসে দেখব। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট কোনও দেশকে দেওয়ার আগে তাদের মানবাধিকারের বিষয়টি অবশ্যই দেখা উচিত।
লাম বলেন, মানিবাধিকারে সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স করা কাউকে বিশ্বকাপ আয়োজনের উপহার দেওয়া হলে অবশ্যই আপনার মনে বিশ্বকাপ প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে।
কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব পায় ২০১০ সালে। ২০২১ সালে সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে, বিশ্বকাপের যজ্ঞ আয়োজনে দেশটিতে অন্তত সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিক মারা গেছেন। এর মধ্যে সরাসরি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজে অংশ নেওয়া ১২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আর্মেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, বাক স্বাধীনতা হরণ করতে দেশটি আগের চেয়েও কড়া হয়েছে।
জার্মানির এই ফুলব্যাক আশা ব্যক্ত করেছেন, বিশ্বকাপ আয়োজনের উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ফিফা এসব বিষয় সামলে নেবে। ভবিষ্যতে এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি উচিত হবে না। বিশ্বকাপের স্বত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে মানবাধিকার, স্থিতিশীলতা, দেশটির আকার গুরুত্বপূর্ণ। এর কোনও কিছুই মানা হয়েছে বলে মনে হয় না।