প্রতিবারের মতো এবারও কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ বলে এবার ভক্তদের চাওয়াটাও অন্যদের চেয়ে বেশি। তবে দলের কোচ লিওনেল স্কালোনি আগেভাগেই ভক্ত-সমর্থকদের ট্রফির নিশ্চয়তা দিচ্ছেন না। স্কালোনি মনে করেন, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বিশ্বকাপ জয়ের গ্যারান্টি দেয়া মানে ডাহা মিথ্যা বলা।
রাশিয়ায় গত আসরে কোনোমতে গ্রুপে পর্বের গণ্ডি পেরিয়েছিল আর্জেন্টিনা। শেষ ষোলোতে ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে বিদায় নেয় লিওনেল মেসির দল। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন কোচ করা হয় স্কালোনিকে। তার অধীনে ঘুরে দাঁড়ায় আর্জেন্টিনা। পূর্ণ মেয়াদে নিয়োগ পান স্কালোনিও।
এই কোচের জাদুতে ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকা জেতে আলবিসেলেস্তেরা। এবার লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কোনো ম্যাচ না হেরেই মূল পর্বের টিকিট কেটেছে আর্জেন্টিনা। সবমিলিয়ে টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত স্কালোনি বিগ্রেড।
তাদের ঘিরে দীর্ঘ আক্ষেপ ঘুচানোর স্বপ্ন কোটি কোটি সমর্থকের চোখে। ১৯৮৬ সালের পর বিশ্বকাপ ট্রফি ফিরবে আর্জেন্টিনায়- এই আশায় দিন কাটছে তাদের।
কিন্তু আর্জেন্টিনা একাই ট্রফির দাবিদার নয়। ব্রাজিল এবার কোমরবেঁধে নামছে। ফ্রান্স শিরোপা ধরে রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইংল্যান্ড, জার্মানি, স্পেন, পর্তুগালের মতো ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের পেছনে ফেলে বিশ্বকাপ জিততে নিজেদের সেরা ফুটবল খেলতে হবে আর্জেন্টিনাকে।
২০০৬ বিশ্বকাপে আলবিসেলেস্তেদের স্কোয়াডে থাকা স্কালোনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম প্রতিপক্ষ সৌদি আরব। তিনটি দলই কঠিন। তবে প্রথম ম্যাচ একটু আলাদা। যেহেতু ওটা দিয়েই বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হবে। সৌদি আরবের পর মেক্সিকো, আমরা জানি ঐতিহ্যগতভাবে বিশ্বকাপে তারা সমৃদ্ধ। তাদের একজন দারুণ (জেরার্ডো মার্টিনো) কোচ এবং ভালোমানের খেলোয়াড় রয়েছে। পোল্যান্ড ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষ। তারা প্লে-অফ পরীক্ষা উতরে এসেছে। তাদের রয়েছে লেভানদোভস্কি, জিলেনস্কির মতো খেলোয়াড়।’
বাস্তবতা মেনেই স্কালোনি ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ’ সামনে এগোতে চান আর্জেন্টিনা কোচ, ‘আমি ম্যাচ ধরে ধরে আগাবো। আমরা বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছি- এমনটা বলা ভিত্তিহীন। এটা মিথ্যা। বড় দল রয়েছে অনেকগুলো। হ্যাঁ, আমরা প্রতিযোগিতা করবো। আমাদের দল যে কারো সঙ্গে লড়তে পারে। ১০টি দল রয়েছে যারা এবার বিশ্বকাপে শিরোপার জন্য লড়বে।’