জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশের সিরিজ হার নিশ্চিতের পর পরই জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েসের ভেরিফায়েড পেজ থেকে করা একটি পোস্ট নিয়ে নেট দুনিয়ায় বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও সমালোচনার পর পোস্টটি মুছে দেয়া হয় এবং পেজ হ্যাক হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
ইমরুল কায়েস অবশ্য পোস্টে সরাসরি কিছু লেখেননি, ইমোজি দিয়েছেন। আর তাতেই বাধে বিপত্তি। যেখানে অনুভূতি প্রকাশ করা হয় ‘ফিলিং স্যাড যুক্ত’ করে। কিন্তু এরই সঙ্গে বেশ কিছু অট্টহাসি ও লজ্জায় হাত দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার ইমোজি দিয়ে পোস্ট করা হয়।
জাতীয় দলের একসময়ের ওপেনারের এমন পোস্ট ভালোভাবে নেননি দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। মন্তব্যের ঘরে তার এমন পোস্ট নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। তুমুল সমালোচনার মধ্যেই পোস্টটি মুছে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ দলকে নিয়ে কেন এমন পোস্ট দিয়েছেন ইমরুল, সে প্রশ্ন করার আগেই এ ব্যাটার দাবি করেছেন— তার এই পেজ হ্যাক করা হয়েছিল।
মিনিট কয়েকের মধ্যে বিতর্কিত পোস্টটি সরিয়ে আরেকটি পোস্ট করা হয়। যেখানে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ স্বীকৃত ব্যাটারের পক্ষে সেই পোস্টে লেখা হয়, কিছুক্ষণ আগে পেজটি হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইমরুল কায়েস ভাইয়ের ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার ফলে পেজটির নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের কাছে চলে যায়। আলহামদুলিল্লাহ, বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর আমরা পেজটি আবারও ফিরে পেয়েছি। হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে থাকার সময় পেজ থেকে প্রকাশিত স্ট্যাটাসের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। -অ্যাডমিন
যদিও পোস্টটি নতুন বিতর্ক জন্ম দিয়েছে। পোস্টের পর কয়েক ঘণ্টা পার না করতেই ২ হাজারের কাছাকাছি মন্তব্য জমা পড়ে, যার বেশিরভাগই নেতিবাচক।
এর মন্তব্যের ঘরে অনেকে লিখেছেন, এত দ্রুত হ্যাকারদের কবল থেকে পেজ উদ্ধারের ঘটনা সারা দুনিয়াতেই বিরল। এর পর পোস্টের কমেন্ট বক্স বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, র্যাংকিংয়ে ১৫তম অবস্থানে থাকা জিম্বাবুয়ে সেরা পাঁচ ক্রিকেটারকে ছাড়া খেলতে নেমে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। অথচ বাংলাদেশ দলের প্রিয় ও স্বস্তির ফরম্যাট ওয়ানডে।
বিষয়টি নিয়ে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা সমালোচনা করছেন তামিম বাহিনীর। অনেকেই বাংলাদেশ দলকে নিয়ে কটাক্ষ করে ফেসবুকে পোস্ট করছেন। আর এমনই এক পোস্ট করা হয় ক্রিকেটার ইমরুল কায়েসের ফেসবুক থেকে। যে কারণে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ ব্যাটার ভিন্ন কারণে এখন আলোচনায়।