ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছে। এর মাধ্যমে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। তিন দিনের সংঘর্ষে ১৫ শিশুসহ অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
ইসলামিক জিহাদ ও ইসরায়েল, উভয় পক্ষই পৃথক বিবৃতির মাধ্যমে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেয় এবং এ বিষয়ে মধ্যস্থতার জন্য মিশরকে ধন্যবাদ জানায়।
এ অস্ত্রবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে গাজায় শুরু হওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত বন্ধ হওয়ায় আশা জাগতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোর পুরোটা সময়জুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীগুলো ফিলিস্তিনি লক্ষ্যস্থলগুলোতে একের পর এক আক্রমণ চালায়।
ফিলিস্তিনের বহু অঞ্চলে তারা হামলা চালাতে শুরু করেছিল। যার জেরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক জিহাদের নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে। তার মধ্যে কম্যান্ডার খালেদ মনসুর এবং তায়সির আল-জাবারিও আছেন। এই দুই ব্যক্তি ইসলামিক জেহাদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন।
অন্যদিকে ফিলিস্তিন জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলের আক্রমণে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু শিশু এবং নারী আছে। যদিও ইসরায়েলের দাবি, ইসলামিক জিহাদের লক্ষ্যভ্রষ্ট রকেটের আঘাতেই ওই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মিশর শান্তিপ্রস্তাব দেয়। তাদের মধ্যস্থতাতেই রোববার রাতে দুই দেশের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়। স্থানীয় সময় রোববার রাত সাড়ে ১১টা থেকে যুদ্ধবিরতি চালু হয়েছে। এর ফলে অন্তত কিছুদিন লড়াই বন্ধ থাকবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি।