চট্টগ্রামে স্বাভাবিক হয়েছে গণপরিবহণ চলাচল। শনিবার সকাল থেকে চলা ‘ধর্মঘট’ দুপুরে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এর পরপরই সড়কে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে গণপরিহণ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে উল্লেখ করেন বেলায়েত হোসেন। এদিকে, বিকাল ৫টায় বিআরটি ও বাস মালিক সমিতির বৈঠকের কথা রয়েছে। সেখানে বাস ভাড়া পুনর্নিধারণ করা হবে।
বেলায়েত হোসেন বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ৪২ শতাংশ। তাই সরকারের কাছে গাড়িভাড়া ৫০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানাই। এখন যে ভাড়া ১০ টাকা তা ১৫ টাকা করতে হবে।
তিনি বলেন, গত তিন মাসে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সবকিছু মাথায় রেখে গাড়ি ভাড়া ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবনা সরকারের কাছে রাখছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। সরকার যেহেতু জ্বালানিতে লস দিচ্ছে, দাম বাড়াবে এটা স্বাভাবিক। আমাদের বিষয় চিন্তা করে সরকার যেন ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করে দেয়। তাহলেই আমরা গাড়ি সচল রাখতে পারব।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া পুনঃনির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত নগরে বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ।