জিম্বাবুয়ে সিরিজে টি-টুয়েন্টিতে পরাজয়। প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে ৩০০ পার করা ইনিংসের পরেও হার। এর সাথে যোগ হয়েছে একের পর এক ফর্মে থাকা খেলোয়াড়দের ইনজুরি। নুরুল হাসান সোহানের পর লিটন দাসের ইনজুরি ভাবাচ্ছে বিসিবিকে। এশিয়া কাপেরও বাকি নেই বেশিদিন। সবমিলিয়ে দুশ্চিন্তার ছাপ বিসিবিতে।
জিম্বাবুয়ে সফরের টি২০ সিরিজে সিনিয়রদের বিশ্রাম দিয়ে তারুণ্যনির্ভর দল গড়েছিল বিসিবি। তবে লাভ হয়নি উল্টো সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। তাই এশিয়া কাপের মত বড় টুর্নামেন্টে রিস্ক নিতে চাচ্ছে না বিসিবি। দল গোছাতে পরীক্ষিতদের দিকেই ঝুঁকবে জাতীয় দল নির্বাচকরা। সেই ধারায় এশিয়া কাপে ফিরতে পারেন সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান।
সৌম্য সরকার দেশের হয়ে শেষ টি২০ ম্যাচ খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে এরপর আর দলে ফিরতে পারেননি মারকুটে এই ব্যাটসম্যান। সাব্বির রহমান তো আরো আগে থেকেই জাতীয় দলের রাডারে নেই। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি২০ খেলেছিলেন তিনি। তবে জাতীয় দলে ফিরতে হলে সৌম্য ও সাব্বিরের জন্য শর্ত- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ভালো খেলতে হবে তাদের।
দলে নতুন সুযোগ পাওয়া ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার আশানুরূপ খেলতে না পারায় এশিয়া কাপে তাকে চিন্তা নাও করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে সৌম্য সরকারের পাশাপাশি ফিরতে পারেন নাইম শেখও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়েতে টি-টুয়েন্টি সিরিজে না থাকা উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকের দলে ফেরাটা প্রায় নিশ্চিত। যদিও তার ভাইরা ভাই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের এশিয়া কাপের দলে থাকার সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ।
পেসারদের পারফর্মন্সেও ভাবাচ্ছে নির্বাচকদের। মোস্তাফিজ, তাসকিন, শরীফুল কেউই চাপে ফেলতে পারছেন না প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। ফলে ম্যাচ হারতে হচ্ছে টাইগারদের। সে সাথে বাজে ফিল্ডিংও যেন মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিসিবির।