জ্বালানি তেলের দাম হঠাৎ বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ। বাস ও টেম্পো চলাচল বন্ধ রাখার পাশাপাশি নগরের বিভিন্নস্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পরিবহণ শ্রমকিরা।
শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ। এরপরপরই মূলত যানবাহন শূন্য হয়ে পড়ে নগরের প্রধান সড়কগুলো। বেলা বাড়তেই শ্রমিকরা জড়ো হয়ে অবরোধও শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নগরের আগ্রাবাদ বাদামতল মোড় ও লালখান বাজার মোড়ে অবরোধ করছেন পরিবহণ শ্রমিকরা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল জানান, ‘তেলের দাম বাড়ানোর কারণে গাড়ি না চালানোর বিষয়ে এখনও অফিসিয়ালি কোনও কর্মসূচি ডাকা হয়নি। হুট করে তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় কারণে প্রাথমিকভাবে শনিবার সকাল থেকে নগরীতে গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
পরিবহন চালকরা জানিয়েছে, অধিকাংশ গাড়িতে তেল নেই, কোনও পাম্পে গিয়ে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সকাল থেকে গাড়ি চালাতে পারবেন না চালকরা। বেলায়েত হোসেন বেলাল জানান, পরিবহন নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। এতদিন কেরোসিন ও ডিজেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রোল ৮৬ টাকা প্রতি লিটারে বিক্রি হচ্ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাস টেম্পো না পেয়ে পায়ে হেঁটে দূর-দূরান্তের গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন কর্মজীবী মানুষ। চুক্তিতে রাইড শেয়ার করা মোটরবাইকেও অনেককে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে, তবে সে ক্ষেত্রেও তাদের প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে।