চলছে শোকের মাস আগস্ট। এ মাসে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন সংগঠন-প্রতিষ্ঠান। সরকারিভাবেও আয়োজন করা হচ্ছে নানান উদ্যোগ। চট্টগ্রামেও পালিত হচ্ছে মাসব্যাপী কর্মসূচি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি নিয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল আয়োজন করেছে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর। দেশের ইতিহাসে এটিই রেলের প্রথম ভ্রম্যমান জাদুঘর। নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর।
এখানে ১৯২০ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ১২টি গ্যালারির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি গ্যালারিতে ডিসপ্লের পাশাপাশি হেডফোনে তৎকালীন প্রেক্ষাপটের ধারা বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। ভিডিও চিত্রের সাথে ধারা বর্ণনা শুনে নতুন প্রজন্ম এ সম্পর্কে জানতে পারছে।
জাদুঘরের শোপিসে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃক বাড়ি, সমাধিসৌধ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ, বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত প্রতীকী চশমা, মুজিব কোট, পাইপ, মুজিব নগর স্মৃতিসৌধ, জাতীয় শহীদ মিনার, কারাগারের রোজনামচা, বিজয়স্তম্ভ, কমলাপুর ও মুজিব শতবর্ষের লোগো প্রদর্শণ করা হয়েছে।
জানা যায়, দেশের ৮০ শতাংশ রেলস্টেশন গ্রাম-বাংলায় ছড়িয়ে রয়েছে। প্রান্তিক মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, সংগ্রামী জীবনী তুলে ধরতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫৭ ফুট লম্বা এই জাদুঘরটি সাজানো হয়েছে বাহারি ফুল দিয়ে। নিচে কার্পেট উপরে দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই জাদুঘরটির নজরকাড়া সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে দর্শনার্থীদের।
উদ্ভোধনের পর থেকে নানা বয়স ও পেশার মানুষ ঐতিহাসিক ছবি দেখার জন্য ভিড় করছেন। আগত সবাই এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিনোদনের পাশাপাশি এখান থেকে নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও তার আদর্শ সম্পর্কে আরও ভালো জানতে পারবে বলে মনে করছে দর্শনার্থীরা।
জাদুঘরটি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে জাদুঘর থাকবে আগামীকাল ৫ আগস্ট পর্যন্ত।