সূর্যের লাল আভা জানান দেয় সন্ধ্যার আভাস। আর সন্ধ্যা নামার আগে থেকেই ভোজনরসিকদের আনাগোনা শুরু হয় চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশ ঘেঁষা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়। ধীরে ধীরে এ জমায়েত পরিণত হয় ভিড়ে। যা লেগে থাকে রাত অবধি।
শুধুই হাইপ নাকি খাবারেও স্বাদ আছে? খাবার চেখে দেখা মাত্রই এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। এখানে আসা ভোজনরসিকরা বলছেন, মূলত চাপ এবং শর্মা বেশ জনপ্রিয়। তন্দুর রুটি আর পায়া বা চিকেন টিক্কা যারা খাবেন তাদের হাত বেশ চেটেপুটেই খেতে হবে। এখানকার খাবার এতটাই জনপ্রিয় যে, দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে। আর খাবারের দামও তুলনামূলক কম।
এখানে চায়ের স্বাদও যেন আলাদা। পাউডার দুধের চায়ের সাথে আছে বাহারি নানান রকম চা। পাওয়া যায় মসলা চা-ও।
এছাড়াও এটি এক মিলন মেলার জায়গা। স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী এবং স্থানীয়রা সবাই সন্ধ্যার পর আড্ডা জমায়। কেউবা প্রিয়জনকে নিয়ে আসে এক মুঠো সময় কাটাতে। আগে স্টেডিয়াম এলাকা পর্যন্ত রেস্তোরাঁ থাকলেও এখন তার বিস্তার ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট পর্যন্ত। বিক্রি এবং গুরুত্ব বিবেচনা করে গড়ে উঠেছে একের পর এক রেস্তোরাঁ।
রেস্তোরাঁকে কেন্দ্র করে জায়গায়টা নতুন রূপে সেজেছে। আগের থেকে অনেক গোছালো,এবং চার পাশ আরো বড় করা হয়েছে। হঠাৎ গেলে যে কেউ আশ্চর্য হয়ে যাবেন। পুরানো স্থাপনাকে ভেঙে নতুন রূপ দেওয়ায় অনেক সুন্দর লাগছে। আগের থেকে অনেক বেশি বসার স্থান বানানো হয়েছে।