চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের ১৭ যাত্রীর পরিচয় মিলেছে। তারা সবাই হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের আমানবাজার যুগীরহাট এলাকার ‘আর অ্যান্ড জে’ নামক একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র ও শিক্ষক।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ মেম্বারের বাড়ির জানে আলমের ছেলে নিহত শিক্ষক ওয়াহিদুল আলম জিসান (২৩), একই ওয়ার্ডের লাইনম্যান কবিরের বাড়ির আবদুল হামিদের ছেলে নিহত শিক্ষক জিয়াউল হক সজীব (২২), শিকারপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মুসা খানের বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে নিহত শিক্ষক মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে নিহত শিক্ষক রেদোয়ান চৌধুরী (২২)।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের বজল কন্ট্রাক্টর বাড়ির মোজাফফরের ছেলে নিহত মোসহাব আহমেদ হিসাম (১৬), লাইনম্যান কবিরের বাড়ির আবদুস শুক্কুরের ছেলে নিহত শিক্ষার্থী আয়াতুল ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল ওয়াদুদ মাস্টারের বাড়ির আবদুল মাবুদের ছেলে নিহত শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন মারুফ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী জালাল কোম্পানি বাড়ির মো ইলিয়াছ প্রকাশ ভুট্টোর ছেলে নিহত পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ হাসান, সাবরেজিস্টার বাড়ির মৃত পারভেজের ছেলে নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থী তাসমির হাসান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর আজিম সাব রেজিস্টার বাড়ির হাজী মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে নিহত চালক গোলাম মোস্তফা নিরু (২৬) এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পারভেজের ছেলে শিক্ষার্থী সাগর।
আহত ছয়জন হলেন- আকবরশা থানার শেরশাহ কলোনির মো. সুলাইমানের ছেলে মাইক্রোবাসের হেলপার তৌহিদ ইবনে শাওন (২০), মনসুর আলমের ছেলে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মাহিম (১৮), আব্দুর রহিমের ছেলে তানভীর হাসান হৃদয় (১৮), ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাছা মিয়া সওদাগর বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইমন (১৯), সৈয়দুল আলমের ছেলে মো. সৈকত এবং সাজ্জাদ (২৩)।