ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করে বাংলাদেশ জাতীয় দল দেশে ফেরার সপ্তাহ পার না হতেই এবার ক্যারিবিয় দেশটিতে পা রাখতে যাচ্ছে এ দল। আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশটিতে পৌঁছার কথা মোহাম্মদ মিঠুনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এ দলের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরকালে সেখানে ২টি চারদিনের ম্যাচ ও ৩টি একদিনে ম্যাচ খেলবে এ দল।
আগামী ৪ আগস্ট সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে শুরু হবে সফরের প্রথম চারদিনের ম্যাচে। ১০ আগস্ট থেকে হবে দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচ। ১৬ আগস্ট থেকে শুরু সাদা বলের লড়াই। এরপর ১৮ ও ২০ আগস্ট বাকি দুটি এক দিনের ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সফরের সবকটি ম্যাচের ভেন্যুই সেই সেন্ট লুসিয়ায়।
বাজে পর্মের কারণে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার প্রায় এক বছর পর এ দলকে নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব কাঁধে বর্তালো মিঠুনের। শুধু বাজে ফর্ম নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা সমালোচনা, ট্রলের শিকার হয়েছেন এ ব্যাটসম্যান।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স ও বাংলাদেশ টাইগার্স দলের সঙ্গে অনুশীলন করে সেই মিঠুন এখন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক। জাতীয় দল না হলেও মিঠুন ‘এ’ দলকে দেখছেন বাংলাদেশেরই আরেকটি দল হিসেবে। যার নেতৃত্বে থাকতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
বৃহষ্পতিবার (২৮ জুলাই) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সফরপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মিঠুন বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশেরই প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি। এটা বাংলাদেশেরই দ্বিতীয় সেরা দল। আশা করি আমরা সেখানে ভালো করতে পারব।’
জাতীয় দল নয় ঠিকই, কিন্তু মিঠুনের ‘এ’ দলে ফেরা আরও একবার আলোচনা-সমালোচনার ডেকে আনবে কি না, সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে মিঠুনকে। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক বেশি মাতামাতি হয়। এগুলো সামলানোর সামর্থ্য না থাকলে আমি ক্রিকেট খেলতে পারব না। সেটা সামলানোর মত মানসিক দৃঢ়তা থাকতে হবে।
এ জন্য আমি যথেষ্ট সময় পেয়েছি। সময় পেয়ে ক্রিকেটে ফিরেছি, ক্রিকেট খেলছি। এখন একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখানে কীভাবে সর্বোচ্চটা দিতে পারি সেটিতেই আমার পূর্ণ মনোযোগ। আর কোনদিকে কী হচ্ছে তা আমার ভাববার ব্যাপার না, ভাবিও না।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ দুটি সফরে বাংলাদেশ টেস্ট দলের পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। এবারের ’এ’ দলের সফরে লাল বলের খেলাটাই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। মিঠুন যেমন বলছিলেন, ‘লাল বলের চ্যালেঞ্জটা সবসময়ই থাকে। কারণ আমাদের ঘরোয়া পর্যায়ে তেমন চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয় না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দলে গেলে যেটা সামলাতে হয়।’