বিয়ের কয়েক মাস পরই শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন মেয়ে জামাই আয়াতুল ইসলাম (৩৫)। পালিয়ে গিয়ে শাশুড়িকেই বিয়ে করেন, তবে সে সংসার টিকেনি ৩ মাসও। ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় শাশুড়ির সাথে, পরে বিয়ে করেন আরও একটি। এসব ঘটনায় আয়াতুলের শ্বশুড়ের দায়ের করা মামলায় আদালত তাকে দেড় বছরের কারাদণ্ডও দেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পালিয়ে ছিলেন তিনি, অবশেষে ১১ বছর পর পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হলো একই সাথে মা ও মেয়েকে বিয়ে করা আয়াতুলকে।
ঘটনা নেত্রকোনোর, ২০১০ সালের। ঘটনার ১১ বছর পর শ্বশুর মতি মিয়ার দায়ের করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আয়াতুল ইসলামকে রোববার (২৪ জুলাই) গ্রেপ্তার করেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানা-পুলিশ। তিনি দেড় বছরের সাজায় ৯ বছর পালিয়ে ছিলেন।
সোমবার দুপুরের দিকে গ্রেপ্তারকৃত আয়াতুলকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এর আগে গত রবিবার রাত ৯টার দিকে তাকে জেলার আটপাড়া থানা পুলিশের সহায়তায় কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে আটক করে।
আয়াতুল মোহনগঞ্জের সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের মেদিপাথরখাটা গ্রামের শাহ জামালের ছেলে। তিন মাসের মতো সংসার শেষে শাশুড়ি নাসরিনের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় আয়াতুলের। আয়াতুল ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। পরে কৃষ্ণপুর গ্রামে নতুন বউকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। প্রথম স্ত্রী মরিয়ম (নাসরিনের মেয়ে) বর্তমানে দেশের বাইরে থাকেন বলে জানা গেছে।
মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মমতাজ উদ্দিন জানান, গোপন তথ্যে জানাতে পারি আয়াতুল ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করেন ও আটপাড়ার কৃষ্ণপুর গ্রামে নতুন বউকে নিয়ে সেখানে বসবাস করেন। গত রবিবার রাত ৯টার দিকে এএসআই এমরুল রশিদসহ আটপাড়া থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তিনি দেড় বছরের সাজায় ৯ বছর পালিয়ে ছিলেন।
তিনি আরো জানান, ২০১০ সালের দিকে আয়াতুল তাদের গ্রামে মতি মিয়ার মেয়ে মরিয়মকে বিয়ে করেন। বিয়ের একবছর যেতে না যেতেই তার শাশুড়ি নাসরিনকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মতি মিয়া ২০১১ সালে দায়ের করা মামলায় ২০১৩ সালে আয়াতুলকে দেড় বছরের কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে দুই হাজার টাকা জরিমানা প্রদান এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের সাজা দেন আদালত।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আজ সোমবার দুপুরের দিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।