শামীম ওসমান নৌকার লোক, বাইরে কোথায় যাবেন?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ শামীম ওসমানের সমর্থন প্রসঙ্গে নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, একই কথা শুনতে শুনতে আমি তিন দিন ধরে ক্লান্ত হয়ে গেছি। একজনকে কেন বারবার টেনে আনছেন আপনারা? উনি তো নৌকার লোক, নৌকার বাইরে কোথায় যাবেন?

আজ বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের টানবাজার এলাকায় গণসংযোগকালে আইভী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

নির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানা নেই জানিয়ে আইভী বলেন, আমিও নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ির অভিযোগ পেয়েছি। এটা বন্ধ করতে হবে প্রশাসনকে। সারা দেশের মানুষ জানে, আমি গরিব মানুষ। আমি সাধারণ জীবন যাপন করি।

এটা আমার শত্রুও জানে।  আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকার কাকাও জানেন। আমি কখনও টাকার রাজনীতি করিনি, করবও না। সুতরাং টাকা কোত্থেকে ছড়াচ্ছে, কারা ছড়াচ্ছে, এটা আমারও প্রশাসনের কাছে জিজ্ঞাসা।

সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ভোটের মাঠে প্রতিটা মুহূর্ত চ্যালেঞ্জের। আমি জনগণের কাছে যাচ্ছি, ভোট চাচ্ছি। আমার কাছে প্রতিটা ক্ষণই চ্যালেঞ্জের। সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়া, তাদের কাছে ভোট চাওয়া, এটাও চ্যালেঞ্জের অংশ।

বিগত দুটি নির্বাচনের মতো এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ যাতে ভোট দিতে যেতে পারে, সেই পরিবেশ চাই। ভোটের পরিবেশ ভালো আছে। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা এ রকম পরিবেশ চাই। সাধারণ মানুষ যাতে ভোট দিতে যেতে পারে।

তৈমূরের কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে আইভী বলেন, আমি বিষয়টি ঠিক জানি না। আমি শুধু তিন-চার দিন আগে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে একজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনেছিলাম। আমি এ নির্বাচনের আগে আরও দুটি নির্বাচন করেছি।

আমার তরফ থেকে এ ধরনের কোনো কিছু ছিল না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শহরের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য কোনো মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের কাউকে ধরে থাকলে তারা সঠিক কাজই করেছে। এর বাইরে আমি জানি না, কাকে ধরেছে। আমি আমার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত।

নির্বাচনি প্রচার চালাতে গিয়ে কোথাও বাধার শিকার হচ্ছেন কি না, জানতে চাইলে আইভী বলেন, আমি নিজে কোথাও বাধার শিকার হইনি। তবে আমার লোকজনকে বিভিন্ন জায়গায় বাধা ও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এটি ছোটখাটো বিষয়। নির্বাচন এলে এ রকম বাগ্‌বিতণ্ডা হতেই পারে। ওই রকম সিরিয়াস কিছু এখন পর্যন্ত হয়নি।

আইভী বলেন, সন্ত্রাসী যে কারও সঙ্গে থাকতে পারে। সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই, জাতও নেই। শহরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী আছেই। কিশোর গ্যাংয়ের লিডার, মাদক বিক্রেতা ও হোন্ডা বাহিনী থেকে শুরু করে এই শহরে বহু কিছু আছে; তাদের ধরা হোক।

আমার চাওয়া, শহরের সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ যাতে ঠিক থাকে, কেউ কাউকে যাতে ভয়ভীতি দেখাতে না পারে, সুন্দরভাবে যেন নির্বাচনটা হয়, কোনো বিশৃঙ্খলা যাতে তৈরি না হয়। সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই, সে কোনো দলের বা গোষ্ঠীর হতে পারে না। সে নিজের স্বার্থে কাজ করে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.