আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে নয়, করোনা থেকে বাচঁতে বিধি-নিষেধ দিয়েছে সরকার।
বিএনপি নেতারা মানষিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন। করোনা প্রতিরোধের জন্য সরকার কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছেন। সেটি নিয়ে বিএনপি বলছে তাদের সমাবেশ বন্ধ করতে সরকারের এই বিধি-নিষেধ দিয়েছে। বিএনপি এসব কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলেও জানান এই সাংসদ।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে দেশে করোনার ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ইতিমধ্যে করোনা শনাক্তের হার ১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এই মহামারী থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য বিধি-নিষেধ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হানিফ বলেন, জনগণের আস্থার প্রতীক নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।
করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলে উল্লেখ করে হানিফ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিইয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, এদেশে যেহেতু নির্বাচন কমিশন আইন নেই কিন্তু চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এত দ্রুত সময়ে নির্বাচন কমিশন আইন তৈরি করা সম্ভব নয়।
তাই বর্তমানে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে সে অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সেক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের নৈতিক দায়িত্ব মহামান্য রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া দিয়ে কমিশন গঠনে সহায়তা করা।
কোন রাজনৈতিক দল চাইলে রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া নাই দিতে পারেন তাই বলে নির্বাচন কমিশন গঠন থেমে থাকতে পারে না।