সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় শেষ দিনের যুক্তিতর্ক চলছে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী রানা দাশগুপ্তের অসমাপ্ত যুক্তি উপস্থাপনের মধ্যে আদালতের দিনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। আজ এই মামলার যুক্তিতর্ক পেশের শেষ দিন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, আজ বুধবার আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত তার অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রানা দাশ গুপ্ত তার যুক্তিতর্ক মুলতবি রেখেছিলেন।
তিনি আরও জানান, এই মামলার ১৫ জন আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীগন আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্তের যুক্তিতর্ক শেষ হলে রাষ্ট্রপক্ষের এবং বাদীপক্ষের আইনজীবী সর্বশেষ সওয়াল-জবাবে অংশ নেবেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উক্ত মামলার আসামি ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ জনকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, ৮ দফায় গত ৭ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মোট ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ করেছিল আদালত। একই সঙ্গে রোববার (৯ জানুয়ারি) থেকে আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) পর্যন্ত যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেছিল আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।
পরে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।