নীরব চৌধুরী বিটন, প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি :
১৯৭২ সালে এই দিনে পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে তিনি বাংলার মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই দিনটিতে আজ ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
স্বাস্থ্যা সুরক্ষাবিধী মেনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে খাগড়াছড়িতে।
আজ সোমবার ( ১০ জানুয়ারি ) দিবসটি উপলক্ষে সকালে স্থায়ী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগ্রীতের পরিবেশনার সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনে করেন জেলার নেতারা। পতাকা উত্তোলন শেষে ফুল নিয়ে র্যা লীসহকারে শহরের টাউনহল এলাকায় চেতনা মঞ্চে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্প স্তবক নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা শাখা ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভা অনুষ্টিত হয়। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বক্তব্যে বলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান বঙ্গবন্ধু। তাঁর ডাকে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তি সংগ্রামে। উনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও কৌশলগত দক্ষতার কারণে আজ আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।
বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়–য়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর বিশ্ব জনমতের চাপে ১৯৭২ সালে ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। সেখান থেকে ১০ জানুয়ারি দিল্লি হয়ে পৌঁছান ঢাকায়। লাখো জনতা সেইদিন তাদের প্রিয় নেতাকে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে খোলা ট্রাকে করে তৎকালীন রেসকোর্স ( বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী ) নিয়ে যায়।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রæ চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়–য়া, জেলা পরিষদের সদস্য নিলোৎপল খীসা, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, জেলা পরিষদের সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য ও এডভোকেট আশুতোষ চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল ও সদর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়সহ আওয়ামী লীগের জেলা শাখা ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।