মিরসরাইয়ে গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণ চালক-হেলপারসহ গ্রেফতার ৬

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

মিরসরাই প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম নগরীতে গার্মেন্টেসে কাজ করা এক পোশাককর্মীকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে ওই নারীকে আরো ৩ বার গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় মিরসরাই থানা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করেছে। ধর্ষণের সাথে জড়িত আরো কয়েকজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।

আটককৃতরা হলো- সীতাকুন্ড উপজেলার মাহমুদাবাদ এলাকার মো. দুলালের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৩), বাঁশবাড়ীয়া এলাকার মো. ইয়াছিনের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (১৮), মুরাদপুর এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে রায়হান উদ্দিন রানা (২০), উত্তর ইদিলপুর এলাকার মো. নুর নবীর ছেলে মো. বেলাল হোসেন (২৩), শীবপুর এলাকার মো. সালামত উল্লাহর ছেলে মো. ইসমাঈল (৩২), মিরসরাই উপজেলার মধ্যম কুরুয়া এলাকার মো. জেবল হোসেনের ছেলে মো. সাগর (২২)।

মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, গত ২৩ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পোশাককর্মী চন্দা (ছদ্মনাম) (২২) কে তার পরিচিত সীতাকুন্ডের চাকা পরিবহনের বাস চালক আশরাফুল ইসলাম (২৩) প্রকাশ আল আমিন চট্টগ্রাম নগরীর অলংকার আসার জন্য বলেন। সেখান থেকে চন্দাকে আল আমিন বাসে করে সীতাকুন্ড নিয়ে আসেন।

এ সময় সীতাকুন্ডে বাস থেকে সব যাত্রী নামিয়ে দিলেও চন্দ্রাকে তারা নামতে দেয়নি। আল আমিন ও তার সহকারি (হেলপার) শাহাদাৎ চন্দ্রাকে সীতাকুন্ডের জুটমিল এলাকায় নিয়ে বাসের মধ্যে ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে তারা চন্দ্রাকে জুটমিল এলাকায় বাস থেকে রেখে চলে যায়। পরে চন্দ্রা তার পূর্ব পরিচিত রায়হান উদ্দিন রানাকে ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। রানা তাকে সীতাকুন্ড আসার জন্য বলে। চন্দ্রা সীতাকুন্ড আসার জন্য বাসে উঠলে ওই বাসের ড্রাইভার ইসমাঈল ও তার সহকারী (অজ্ঞাত) রাত প্রায় সাড়ে ১১টায় ওই বাসে তাকে আবার ধর্ষণ করে সীতাকুন্ড ফেলে চলে যায়।

পরবর্তীতে রায়হান উদ্দিন রানা সীতাকুন্ড এসে চন্দ্রার সাথে দেখা করে তার বন্ধু সাগর ও বেলালসহ তাকে সীতাকুন্ড থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টায় মিরসরাইয়ের সাহেরখালী এলাকার বেঁডিবাধে নিয়ে যায়।

সেখানে চন্দ্রাকে পুনরায় ধর্ষণ করেন সাগর, বেলাল সহ আরো কয়েকজন।

পরবর্তীতে রানা ও তার সহপাঠিরা চন্দ্রার কাছে থাকা নগদ ২ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে তাকে রেখে পালিয়ে যায়। চন্দ্রা বৃহস্পতিবার সকালে বেঁড়িবাধ এলাকা থেকে মিরসরাইয়ের নিজামপুর এলাকায় আসে।

পরবর্তীতে বাসে করে সীতাকুন্ড থানায় গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষণের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়।

গণধর্ষণের সর্বশেষ ঘটনা মিরসরাই থানা এলাকায় হওয়ায় সীতাকুন্ড থানা অভিযোগটি মিরসরাই থানায় হস্তান্তর করে।

তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মিরসরাই থানায় গণধর্ষণের বিষয়ে মামলা করেন চন্দ্রা। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সীতাকুন্ড উপজেলার জোড়াআমতল, কুমিরা, সীতাকুন্ড পৌরসভা ও মিরসরাইয়ের নিজামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ আসামীকে আটক করে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় মিরসরাই থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেন।

আসামীদের আটকের বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই) সার্কেল, সহকারী পুলিশ সুপার (সীতাকুন্ড) সার্কেল, মিরসরাই থানা ও সীতাকুন্ড থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.