চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে পুত্রবধূর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার ৪ দিন পর শাশুড়ি রোকেয়া বেগম (৫৫) মারা গেছেন।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মৈশামুড়া মুন্দার পাড়ার ইলিয়াছ চৌধুরীর স্ত্রী। ঘটনার পর পর জনতা কর্তৃক ধৃত পুত্রবধূ নাজমিন আক্তার (২৩) বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়ি রোকেয়ার সাথে ছেলে গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী নাজমিনের সাথে তর্কাতর্কি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
এ সময় এক পর্যায়ে নাজমিন তার শাশুড়িকে ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে পেট ও হাতে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা শাশুড়ি রোকেয়াকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করান। পরদিন মঙ্গলবার চমেক হাসপাতাল থেকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাশুড়ি মারা যান।
অন্যদিকে, ঘটনার পরপর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা পুত্রবধূ নাজমিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনার রাতে মৃত রোকেয়ার স্বামী ইলিয়াছ চৌধুরী বাদি হয়ে পুত্রবধূকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে বলেন, পুত্রবধূ নাজমিন প্রায় সময় মোবাইলে অজ্ঞাত পুরুষের সাথে কথা বলত। বিভিন্ন সময় শ^শুর-শাশুড়ি তাকে নিষেধ করলেও সে শুনেনি। এ নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে পুত্রবধূ বাবার বাড়ি থেকে মৈশামুড়া শ্বশুর বাড়িতে আসে। এ সময় শাশুড়ির সাথে তর্ক ও ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে পুত্রবধূ শাশুড়িকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।
সাতকানিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার পরদিন মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পুত্রবধূকে ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।