করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে দেশের বিভিন্ন জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি দেশজুড়ে ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউনের সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশ বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের বিষয়ে এ মন্তব্য করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমাতে পদক্ষেপ নিতে বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে। সেই অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত নেয়া উপযুক্ত এবং সঠিক হবে, সেটা আমরা নেব।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যাতে ব্যাপক হারে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে না পারে এজন্য জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এমন পরামর্শ দিয়েছে।
ফারহাদ হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি সরকার গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সংক্রমণ কমাতে স্থানীয়ভাবে বিধিনিষেধ দিচ্ছি, দিয়ে এটাকে কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণ) করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেটা প্রয়োজন হবে সেটাই আমরা করব।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) করোনায় ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৬৮ জন। একই সময়ে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৮ জন। যা দেশে গত ৭৪ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। ফলে করোনায় দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি ৫৫৪টি ল্যাবরেটরিতে ৩০ হাজার ৯৯৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ৩৯১টি নমুনা। নতুন ৬ হাজার ৫৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। পলে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৬টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৩০ জন। এ পর্যন্ত করোনার চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮৩ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব আটজন, ত্রিশোর্ধ্ব নয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব নয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৮ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৩৬ জন। বিভাগ হিসাবে মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রামে সাতজন, রাজশাহীতে ২০ জন, খুলনায় ২৩ জন, বরিশালে তিনজন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে সাতজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজনের মৃত্যু হয়।