চট্টগ্রামে ২ করোনা রোগির দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত: সংক্রমণের আশঙ্কা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

চট্টগ্রামে দুই করোনা রোগির দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনলজি বিভাগ এবং ঢাকা আইসিডিডিআরবি’র একটি যৌথ গবেষনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ভাবে ৪২ জন করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষার পর সেখান থেকে ২ জনের মধ্যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়।

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-ফোরকান।

তিনি বলেন, আক্রান্ত রোগীরা ভারত ভ্রমণে গিয়ে কিংবা ভারত ফেরত কারো সংস্পর্শে গিয়েও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত হতে পারে বলে জানান তিনি। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে মনে করেন গবেষক দল। তিনি আরো বলেন,গবেষণায় দেখা যায়, চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের আধিক্য পাওয়া গেছে এবং একইসাথে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে।যদিও এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ কয়েক দেশের ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছিল চট্টগ্রামে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনলজি বিভাগ এবং ঢাকা আইসিডিডিআরবি’র একটি যৌথ গবেষনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে অর্থায়ন করে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।

গবেষণায় এই পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের সাতটি কোভিড-১৯ সনাক্তকরণ ল্যাব এবং হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা ৪২টি নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২টি (৪.৮%) ভারতীয় (ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট) ৩টি (৭.২%) নাইজেরিয়ায় (ইটা ভ্যারিয়েন্ট), ৪টি (৯৫%) যুক্তরাজ্যের (আলফা ভ্যারিয়েন্ট) এবং বাকি ৩৩টি (৭৮.৫%) দক্ষিণ আফ্রিকার (বিটা ভ্যারিয়েট) ধরণ সনাক্ত হয়।

গবেষণায় আরও জানা যায়, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত দুই জন রোগীর কেউই সম্প্রতি ভারতে যাননি এবং তাদের জানামতে ভারত ফেরত কারও সংস্পর্শেও আসেননি। এখানে উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে এর আগে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হয়নি। এ তথ্য থেকে গবেষক দলটি ধারণা করছেন, চট্টগ্রামে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে। ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়া দুইজনের মধ্যে একজন ফটিকছড়ি উপজেলার এবং অন্যজন চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা। ফটিকছড়ি এলাকার রোগীকে খুঁজে পাওয়া গেলেও অন্যজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

গবেষণা কার্যক্রমের সঙ্গে আরও যুক্ত ছিলেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক মো. জিবরান আলম, রাহী হাসান চৌধুরী, এমফিল গবেষক অমিত দত্ত ও ডা. শুভ দাশ, গবেষণা সহকারী ইনজামামুল ইসমাইল শাওন, বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবদুর রহমান অপু, মো. মিফতাহ মুশফিক ও অম্লান ভট্টাচার্য্য।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.