পোশাক শিল্পের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পোশাক শিল্প মালিক ও রফতানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ ও শিল্প পুলিশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুন) উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে শিল্প পুলিশের প্রধান হিসেবে সদ্য যোগদান করা অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) মো. শফিকুল ইসলাম বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপট ও আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে পোশাক শিল্পের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি শিল্প পুলিশের প্রধান হিসেবে সদ্য যোগ দেয়া অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) মো. শফিকুল ইসলামকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।
তিনি শিল্প পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিল্প পুলিশ শুরু থেকেই যেভাবে পোশাক শিল্পকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে, তা অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য। বিশেষ করে পোশাক শিল্পে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে সুষম সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে শিল্প পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আলোচনাকালে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ডিএমপি এলাকার মধ্যে উত্তরখান, দক্ষিণখান, মিরপুর, মালিবাগ, রামপুরা ও বাড্ডাসহ কিছু এলাকায় এখনও বেশকিছু পোশাক কারখানা চালু আছে। এসব কারখানার জন্য ডিএমপি এলাকায় শিল্প পুলিশের একটি জোন বাড়ানো যায় কিনা, বিষয়টি বিবেচনার জন্য তিনি শিল্প পুলিশ প্রধানকে অনুরোধ জানান।
সভায় আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে সম্ভাব্য শ্রম পরিস্থিতি বিষয়েও আলোচনা হয়।
শিল্প পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, সব পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্পে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা পরিবেশ নিশ্চিত রাখতে শিল্প পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। পোশাক শিল্পের উৎপাদন কার্যক্রম যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয়, সেজন্য শিল্প পুলিশ সদা তৎপর।
এসময় বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান (কচি), সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন এবং পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মাহাবুবুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) এ কে এম আওলাদ হোসেন, পুলিশ সুপার (অপস অ্যান্ড ইন্ট.) শিল্প পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, শোয়েব আহাম্মদ এবং শিল্প পুলিশ-১, আশুলিয়া জোন, শিল্প পুলিশ জোন-২, গাজীপুর, শিল্প পুলিশ জোন-৪, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার।