শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রশ্নটা একেবারেই অবান্তর: দীপু মনি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

করোনাভাইরাস সংক্রমণ স্বাভাবিক হওয়ার পর বিশ্বের উন্নত দেশগুলো বিভিন্ন সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করেছিল। খোলার পরে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ফের বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের এখানে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা গায়ে গায়ে লেগে বসে থাকে। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রশ্নটা একেবারেই অবান্তর বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ বুধবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ার সময় জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সংসদ সদস্যদের মধ্যে কোনো সংসদ সদস্য স্কুল খুলে দেওয়ার দাবি করেন। আবার কেউ কেউ স্কুলে খুলে দেওয়ার বিরোধিতা করেন।

সংসদ সদস্যদের এমন মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করেছে। আমরা এইচএসএসি পরীক্ষা শুরুর দুই/তিনদিন আগে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। পরে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল দিয়েছিলাম। আমরা যেভাবে বিচার বিশ্লেষণ ও টালি করে ফলাফল দিয়েছি, দুই একটি ব্যতিক্রম ছাড়া পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের ফলাফল এরকমই হতো। কাজেই কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

মন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও এইচএসএসির পরীক্ষার বিষয়ে এ বছর শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবো। কী পদ্ধতিতে আমরা করবো সবকিছুই জানাবো। তবে, শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ সবাইকে বলবো উদ্বিগ্ন হবেন না। বৈশ্বিক সংকট চলছে। এই সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সব ক্ষেত্রে সেভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। একইভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হবে। এটি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। অবশ্যই আমরা প্রজ্ঞা, জ্ঞানের সব কিছু প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নেবো।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন সারা বিশ্বেই ব্যত্যয় ঘটেছে। আমাদের এখানেও কিছুটা ঘটেছে। কিন্তু তাদের যাতে দীর্ঘ মেয়াদে কোনো ক্ষতি না হয়ে যায় তার জন্য সর্বোচ্চ নজর রাখছি। কেভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ নিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।

ডা. দীপু মনি বলেন, বিজ্ঞানকে নিয়ে চলতে হবে। বিজ্ঞানকে অস্বীকার করে বৈশ্বিক সংকট করোনা অতিমারীর মধ্যে চলতে পারি না। বিজ্ঞান বলছে সংক্রমণের হার শতকরা ৫ শতাংশ বা তার নিচে না নামা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এখন সংক্রমণের হার প্রায় ২৪ শতাংশ। কোনো কোনো জেলায় সংক্রমণ ৫০ শতাংশ বা তারও ঊর্ধ্বে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.