কাজ করতে গিয়ে ভুল হওয়া দোষের নয়। তবে ধারাবাহিকভাবে ভুল হয়ে থাকলে তা সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হতে মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত জরুরি। রান্নাঘর সামলানো থেকে অফিসের কাজ— সবক্ষেত্রেই মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।মনোযোগের অভাবে কাজে প্রতিনিয়ত ভুলত্রুটি হতেই থাকে। তাই মনোযোগ বাড়িয়ে তুলতে হবে। সেজন্য প্রতিদিন সকালে কিছু অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তবেই বাড়বে মনোযোগ।
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা : সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার কিছু সুফল রয়েছে। দ্রুত সকাল শুরু হলে তাড়াহুড়ো হয় না। ধীরে-সুস্থে, শান্তভাবে কাজ এগোনো যায়। মন দিয়ে সব কাজ করা যায়। কিন্তু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা মানেই একরাশ ব্যস্ততা ঘিরে ধরে। তাতে কাজেও ব্যাঘাত ঘটে।
কাজের সময় নির্ধারণ করুন
মনোযোগ বাড়ানোর জন্য কাজের সময় নির্ধারণ করা জরুরি। নিরবচ্ছিন্ন ও কঠিন কাজের জন্য ভোরে বা যে সময়টা আপনি মনে করেন যে কাজের জন্য বা প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর সবচেয়ে উপযোগী, সেই সময়টা বেছে নিতে পারেন। কাজের জন্য একটি সঠিক রুটিন নির্ধারণ করলে সেটি কর্মক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। কাজে মনোযোগ দেওয়া তখন অনেক সহজ হয়ে যাবে।
রাত পরিকল্পনা করুন
মনোযোগ বাড়ানোর অন্যতম উপায় হলো আগের দিন রাতে কাজের পরিকল্পনা করে রাখা। সঠিক পরিকল্পনা আপনাকে সামনের দিনের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত ও আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করতে পারে। ছোট ও গুরুত্ব বুঝে কাজের তালিকা করতে হবে। কাজের পাশাপাশি বিশ্রামের জন্যও প্রয়োজনীয় সময় বরাদ্দ রাখুন।
সঠিক হাইড্রেশন বজায় রাখুন
সঠিক হাইড্রেশন কাজে ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রয়োজনীয় শারীরিক কার্যসম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন তো করেই, পাশাপাশি মনোযোগ বাড়াতেও সাহায্য করে। সঠিক হাইড্রেশন মস্তিষ্কের ফাংশন সাহায্য করে। এটি প্রতিদিনের পানির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে, শারীরিক ও মানসিক অনেক সমস্যা দূরে রাখে। যাতে কাজ করা সহজ হয়।
বিভ্রান্তি দূর করুন
যেসব জিনিস থেকে বিভ্রান্তি হতে পারে, কাজের সময় সেসব জিনিস থেকে দূরে থাকা। ক্রমাগত সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা, কল এবং ইমেল ব্যবহার আপনাকে কাজ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিভ্রান্ত করতে পারে। কাজে মনোযোগ বাড়ানোর সহজ উপায় হলো গুরুত্বপূর্ণ কাজে কাজ করার সময় ফোন দূরে রাখা, এতে মনোযোগ দেওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। তা ছাড়া আরামদায়ক ও বিভ্রান্তিমুক্ত পরিবেশে শান্ত জায়গায় কাজ করা।