চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচন সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩০টি বুথে ইভিএমে নেয়া হবে ভোট। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭৩০ জন। পুরুষ ভোটার ২০৯৩ ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ৬৩৭ জন। এর মধ্যে ১৯১টি ইউনিয়ন পরিষদের ২৪৮৩ জন চেয়ারম্যান-মেম্বার। ১৯১ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও ২২৯২ জন ইউপি সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নারায়ণ রক্ষিত। ১৫ উপজেলায় ১৫টি সাধারণ সদস্য পদে ৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৫ পদে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটাররা নির্বাচিত করবেন ১ জন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ ও ৫ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য।
এদিকে নির্বাচনে ৩ উপজেলা থেকে সাধারণ ওয়ার্ডের ৩ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন- চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) ওয়ার্ডে প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) ওয়ার্ডে কাজী আবদুল ওহাব, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনীয়া) ওয়ার্ডে আবুল কাশেম চিশতী। এই তিন ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ভোট হবে না। চেয়ারম্যান এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভোট হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অনুপম স্থাপত্যের নিদর্শন বদর শাহ মাজার
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান রোববার জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একাধিক ইভিএম প্রস্তত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রে থাকবে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
১৫ উপজেলায় ভোটগ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি জানান, ভোটকেন্দ্রের গোপনীয়তা রক্ষায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ১১০ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা রয়েছেন। ভোটগ্রহণের জন্য প্রতিটি উপজেলায় ১ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ২ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৪ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।