‘নিজেদের ঘরেই’ এশিয়া কাপের ট্রফি রেখে দিল স্বাগতিক শ্রীলংকা। এ নিয়ে ৬ষ্ঠবারের মতো এ টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে তুলল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ নানা সংকটে ভুগতে থাকা দেশটি। শ্রীলংকার চেয়ে মাত্র ১বার বেশি কাপ জিতেছে ভারত। ১৫ আসরের বাকি দুবার চ্যাম্পিয়ন রোববার রাতে হেরে যাওয়া পাকিস্তান।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে এশিয়ার সেরা মুকুট নিজেদের করে নেয় দানুশ শানাকার দল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর পুরো টুর্নামেন্টের অন্য সব ম্যাচেই জয় পেয়েছে সিংহের দল।
দুবাইয়ের স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। এদিন টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাবর আযম। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে প্রথমে ভুল প্রমাণ করেননি পাকিস্তানি বোলাররা। তবে ভানুকা রাজাপাকসে আর হাসরাঙ্গা ডি সিল্ভা মিলে শুরুর চাপ সামলে ১৭০ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেয় শ্রীলঙ্কাকে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কান ঘূর্ণিতে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। এতে ২৩ রানের জয় পায় শানাকার দল।
আরও পড়ুন: বাবর আজম নাকি শানাকা—কার হাতে উঠতে যাচ্ছে ট্রফি
শ্রীলংকার হয়ে ১৫ বলে ২৪ রান করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, ২১ বলে ৩৬ রান করেন হাসরাঙ্গা। তবে রাজাপাকসের ৪৫ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত ইনিংস শ্রীলংকাকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেয়। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ৩ টি এবং ইফতেখার, নাসিম শাহ ও শাদাব খান ১টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৭১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অতিরিক্ত ১০ রান পায় পাকিস্তান। এরপর দেখে শুনে ধীর গতিতেই রানের ধারা অব্যাহত রাখে দুই ওপেনার বাবর আযম ও রিজওয়ান। যেটা পরে কাল হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তানের জন্য। পাকিস্তানের পক্ষে ৩১ বলে ৩২ রান করা ইফতেখার আর ৪৯ বলে ৫৫ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
বাকি কোনো ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি শ্রীলংকার বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত সব উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় তারা। এতে ২৩ রানের জয় নিয়ে ষষ্ঠবারের মত এশিয়া কাপের শিরোপা নিজেদের করে নেয় শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার হয়ে হয়ে প্রমোদ মাধুশান ৪ টি, হাসরাঙ্গা ডি সিল্ভা ৩টি করুণারত্নে ২টি এবং থিকসেনা ১টি করে উইকেট নেন।