কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসছে অসংখ্য বড় বড় মরা জেলিফিশ। একেকটি জেলিফিশের ওজন ১০ থেকে ১৫ কেজি। এক মাস আগেও একবার কক্সবাজার সৈকতে মরা জেলিফিশ ভেসে আসে। হঠাৎ এমন ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তাগিদ দিচ্ছেন পরিবেশবাদীরা।
আগস্ট মাসের শুরুতেই সপ্তাহখানেক সৈকতে ভেসে এসেছিল অসংখ্য বড় বড় মরা জেলিফিশ। সপ্তাহখানেক পর তা আর দেখা যায়নি। কিন্ত তার ঠিক এক মাস যেতে না যেতেই কক্সবাজার সৈকতের উপকূলে আবারও ভেসে আসছে অংসখ্য বড় বড় মরা জেলিফিশ। এগুলো বক্স প্রজাপতির জেলিফিশ বলে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানা গেছে, জেলিফিশগুলো আটকে পড়েছে সৈকতের বালিয়াড়িতে। সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়িতে এক সঙ্গে পড়ে আছে ১৭টির মরা বড় বড় জেলিফিশ। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সবচেয়ে বেশি পর্যটকদের পদচারণা থাকে লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে। এসব পয়েন্টেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ভেসে এসেছে অসংখ্য মরা জেলিফিশ।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই দিল জিম্বাবুয়ে
স্থানীয়রা জানান, সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এক ঘণ্টায় ভেসে এসেছে ৫০টির বেশি মরা জেলিফিশ। গত মাসের ঘটনার আগে কখনো এত জেলিফিশ একসঙ্গে ভেসে আসেনি। সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, কলাতলী থেকে লাবণী সৈকত পর্যন্ত শুক্রবার সকালে ৩০০টির মতো মরা বড় বড় জেলিফিশ ভেসে এসেছে।
গত মাসে জেলেফিশ ভেসে আসার পর নমুনা সংগ্রহ করেছিল কক্সবাজার সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট। এভাবে বিপুল সংখ্যক জেলিফিশের মৃত্যুর পেছনে সমুদ্র দূষণ বা পরিবেশগত বিষয় আছে কি না তা অনুসন্ধানে কাজ করছিল বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
মরা জেলিফিশগুলো হাত দিয়ে স্পর্শ না করতে মাইকিং করা হচ্ছে। আর মরা জেলিফিশগুলো গর্ত করে মাটি চাপা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, সৈকতে প্রচুর মরা জেলিফিশ ভেসে এসেছে। ভাটার সময় মরা জেলিফিশগুলো বেশি দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে- সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে গুনে প্রায় ৩ শতাধিক পাওয়া গেছে। এছাড়াও অন্যান্য পয়েন্টেও আনুমানিক ৫ শতাধিকের মতো দেখা গেছে।
মো. মাসুম বিল্লাহ আরও বলেন, মরা জেলিফিশ ভেসে আসায় সৈকতে মাইকিং করা হয়েছে, যাতে মরা জেলিফিশগুলো হাত দিয়ে স্পর্শ না করা হয়। আর বিচ কর্মীদের একটা টিম রয়েছে, যারা এসব মরা জেলিফিশগুলো মাটিচাপা দেওয়ার কাজ করছে।