মাত্র ৯ সেকেন্ডে গুড়িয়ে দেওয়া হলো ভারতের টুইন টাওয়ার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

মাত্র ৯ সেকেন্ডে গুড়িয়ে দেওয়া হলো ভারতের দুটি বিশালভবন, যা টুইন টাওয়ার নামে পরিচিত ছিল। আদালতের নির্দেশে অবৈধভাবে নির্মিত এ দুটি ভবন রোববার (২৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বেঙ্গলি নিউজ জানায়, বিপুল কালো ধোঁয়ার চাদরে মুড়ে ভেঙে পড়ল নয়ডার জোড়া ইমারত টুইন টাওয়ার। ঠিক যেমন ভাবে ভাবা হয়েছিল, তেমন ভাবেই গুঁড়িয়ে দেওয়া গেল সুপারটেক লিমিটেডের দুই বেআইনি নির্মাণকে। এখনও পর্যন্ত এ দেশে যে কটি বেআইনি ইমারত গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে এই দুটিই সবচেয়ে লম্বা।

কী ঘটল?
সেয়ান (২৯ তলা) এবং অ্যাপেক্স (৩২ তলা) নামে ওই দুটি ইমারতের নির্মাণে বহু বিচ্যুতি প্রমাণিত হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ফলে সুপারটেক প্রাইভেট লিমিটেডের ‘এমারেল্ড কোর্ট প্রজেক্ট’ অংশ দুই যমজ ইমারতকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এদিন তাদের ভেঙে ফেলার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সুপারটেক কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছেন, নকশা থেকে বাস্তব নির্মাণে কোনও ধরনের বিচ্যুতি করা হয়নি। তবে শীর্ষ আদালতের রায় যে তাঁরা মেনে নিচ্ছেন, সে কথাও জানান কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: প্রয়োজনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনা অভিযান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নয়ডার সেক্টর ৯৩এ-র ওই দৈত্যাকার দুই ইমারত ভাঙা ঘিরে আজ সকাল হতেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল নয়ডায়। বিশেষত আশপাশের এলাকা যাতে ন্যূনতম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে জন্য বিশদ ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে লাগোয়া অঞ্চলের বহু আবাসনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এদিন। জোড়া ইমারত বিস্ফোরণের আগে অন্তত আধঘণ্টা সংলগ্ন আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

এলাকার যানচলাচলও অন্য পথ দিয়ে করার ব্যবস্থা করা হয়। মুম্বইয়ের একটি সংস্থাকে এই ইমারত ভাঙার কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। যমজ বহুতল ভাঙার জন্য় ‘কন্ট্রোলড ইমপ্লোশন’ পদ্ধতি নেওয়া হয়েছিল যার বোতাম টেপেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ চেতন দত্ত। অভিযানটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন ডিনামাইট’।

ঝর্নার মতো বিস্ফোরণ…
ঘড়ির কাটায় ঠিক আড়াইটে। কাউন্টডাউন শেষ। সাইরেন বাজছে। যে কোনও মুহূর্তে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে যমজ ইমারত। কিন্তু কখন? দেরি কেন? খুব বেশি দেরি হয়নি। নির্ধারিত সময়ের থেকে মিনিট দেড়েকের মাথায় হুড়মুড়িয়ে ভাঙল জোড়া টাওয়ার। অনেকটা ঝর্নার জলের মতো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মিশিয়ে দেওয়া হল তাদের।

চারদিকে কালো ধোঁয়ার আস্তরণ। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৮০০ মিটার দূরে দাঁড়ানো সাংবাদিকদের পায়ের তলার মাটিও কেঁপে উঠেছে তাতে। বেশ কিছুক্ষণ গল গল করে ছড়িয়ে পড়ল মোটা ধোঁয়া। তার পর কিছুটা দৃশ্যমানতা ফিরতেই দেখা গেল, যেমন ভাবা হয়েছিল তেমনই হয়েছে সবটা। শেষ যমজ বহুতল। মাত্র ৯ সেকেন্ডে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.