নগরীর চেরাগি পাহাড়কে বলা হয়,ফুলের রাজ্য। চেরাগী পাহাড়ের অন্যতম নান্দনিক রুপ দিয়েছে এখানে অবস্থিত ফুলের দোকানগুলো । দেখলে মনে হবে এ যেন এক ফুলের রাজ্য। এখানে প্রায় ছোট বড় প্রায় ৩৫ টি দোকানে বিক্রি হচ্ছে দেশি বিদেশি বিভিন্ন প্রকার ফুল।
‘লিলি, থাই গোলাপ, কিসিমসিমা মিম, অর্কিড, লিমু, গেলোডিয়াস, রজনীগন্ধা, ক্যালেন্ডুলা, গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, জিপসি, চেরিগেণ্ডা, গাঁদা, মাম ফুলসহ দেশি-বিদেশি নানান ফুলে সাজিয়েছে সবগুলো ফুলের দোকান।
ঢাকাসহ জেলার চন্দনাইশের খাগড়িয়া, কক্সবাজারের চকরিয়া, যশোরের গদখালি ও পানিসার এমনকি সিঙ্গাপুর থেকে আসে এসব ফুল। এসব ফুলের মধ্যে দেশী লাল গোলাপ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ টাকায়। অন্যান্য ফুলের মধ্যে বিভিন্ন রঙের চাইনিজ গোলাপ প্রতিটি ৪০-৬০ টাকা, রজনীগন্ধা প্রতি স্টিক ২০ টাকা, জারবেরা প্রতিটি ২০ টাকা ও গাঁদা ফুলে লহরপ্রতি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে ফুলের তোড়া।
আরও পড়ুন: দেড়শ’ কুকুরের নামে পাঁচ কোটি টাকার সম্পত্তি!
সারা বছর ফুল বিক্রি হলেও বিশেষ দিনে বসন্তের প্রথম দিনে,ভালোবাসা দিবস এবং বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ফুল বিক্রি হয় বেশি। এখানে বিয়ে বা গায়ে হলুদের জন্য প্লাস্টিক এবং তাজা ফুলের তোড়া রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন জায়গায় যায় এসব ফুল।
তবে বিগত কয়েক বছর ধরে কিছু মৌসুমী ফুল ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে প্লাস্টিকের ফুল আমদানি করায় দেশীয় ফুল ব্যবসায় ধস নেমেছে। সেই সাথে ফুল চাষের পরিধিও হ্রাস পেয়েছে। এক সময় এসব ফুলের দোকানে ফুল বিক্রি করে জীবিকানির্বাহ করতো এখনকার দোকানীরা তবে এখন চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ফুলের দোকান গড়ে উঠায় বিক্রি কমে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।