মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ক্ষমতা ধরে রাখার অভিযোগে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচাকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির আদালত। প্রধানমন্ত্রী মেয়াদের চেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন বলে আদালতে অভিযোগ তোলে দেশটির বিরোধী দলগুলো। স্থানীয় সময় বুধবার মামলাটি বিবেচনায় নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত। খবর বিবিসি।
তথ্য বলছে, থাইল্যান্ডের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বের মেয়াদ আট বছর নির্দিষ্ট করা আছে। ২০১৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন প্রায়ুথ চান ওচা। ২০১৯ সালে সামরিক সরকারের নির্দেশনায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে থাকেন তিনি। মামলাটি বিবেচনায় নিয়ে প্রায়ুথ চান ওচাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব না পালন করতে নির্দেশ দেন। তবে মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া এখনও বাকি রয়েছে। আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে ১৫ দিন সময় পাবেন তিনি। তবে দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা এই আদেশকে বিস্ময়কর হিসেবে দেখছেন।
আরও পড়ুন: ৪৩ নিখোঁজ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পোস্ট দেয়ার পরপরই খুন সাংবাদিক
দেশটির বিরোধী দলগুলো বলছে, ২০১৪ সালের মে মাসে জান্তা নেতা হিসেবে মেয়াদ শুরু করেন তিনি। ২০১৪ সালের আগস্টে নতুন সামরিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। আর সেকারণেই এই সপ্তাহের শেষে তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে যুক্তি দিচ্ছেন তারা। তবে প্রায়ুথ চান ওচার সমর্থকেরা বলছেন, ২০১৭ সালে যখন নতুন সংবিধান কার্যকর হয় তখন থেকে কিংবা ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই তার মেয়াদ শুরু হয়েছে।
আদালতের আদেশে প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত হওয়ায় এখন নিয়ম অনুযায়ী উপপ্রধানমন্ত্রী প্রবিত ওংসুওয়ান (৭৭) নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।