রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে গত পাঁচ বছরে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিআরটি কী ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে তার একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাকারিয়া খানের পক্ষে আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ মাসুম এ রিট দায়ের করেন। মাসুম জানান, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
তিনি জানান, বিআরটির উন্নয়ন প্রকল্পে কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তলবেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝর্ণা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা (নং-৪২) দায়ের করেন। মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেইন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন জানান, উত্তরার দুর্ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেইন পরিচালনাকারী চালক, সিজিজিসি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে, জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার চাপায় পাঁচজন নিহত হন। হতাহতরা ঢাকায় একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।
গাড়িটিতে থাকা সাতজনের মধ্যে পাঁচজান মারা যান। এরমধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন। নিহতরা হলেন- রুবেল (৫০), ঝরণা (২৮), ফাহিমা (৪০), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামে নবদম্পতি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।