২০ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ করতে দুই বছর বয়সী মামাত বোনকে অপহরণ করে ফুফাতো বোন ওতার স্বামী। অপহরণের পর শিশুটিকে নিয়ে তারা পালিয়ে আসে কক্সবাজার। সেখানকার একটি গেস্ট হাউজে অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের গ্রেফতার ও অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল জোনের ‘মোহাম্মদীয়া গেস্ট হাউজ’ থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও তাদের গ্রেফতার করা হয়। অপহরণকারীরা হলেন- বরিশালের হিজলা উপজেলার উসমান মঞ্জিল ইউপির বাসিন্দা মো. কেরামত আলীর মেয়ে কেয়া (২০) ও মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা সদরের কবুতর খোলা গ্রামের মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে ছুফুয়ান খান রাহাত (২৪)। তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।
অপহরণকারীদের বরাত দিয়ে র্যাব ১৫ এর সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) মো. বিল্লাল উদ্দিন বলেন, ‘২০২০ সালে কেয়া এবং ছুফুয়ান বিয়ে করে। তখন ছুফুয়ান ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতো। কিন্তু ৮ মাস আগে তার চাকরি চলে যায়। বেকার অবস্থায় ধারদেনা করে সংসার চালাতে থাকে। এর মধ্যে তাদের ২০ হাজার টাকার ঋণ গত ১০ আগস্ট পরিশোধ করার কথা ছিল।’
সহকারী পরিচালক আরও বলেন, ‘ওই ঋণ পরিশোধ করতেই ১০ আগস্ট কেয়া তার মামার বাড়ি থেকে কৌশলে তার দুই বছরের মামাত বোনকে অপহরণ করে স্বামী ছুফুয়ানসহ কক্সবাজারে আসে। উঠেন মোহাম্মদীয়া গেস্ট হাউজে। তারপরে ভিকটিমের পরিবারে মুক্তিপণ বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে ভিকটিমকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে ভিকটিমের পরিবার ঢাকার দক্ষিণখান থানায় কেয়া ও তার স্বামীকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে ভিকটিমের পরিবারের দেওয়া তথ্যে আমরা অভিযানটি চালিয়ে শিশুকে উদ্ধার ও স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করি।’