করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে দেশের ৭ জেলায় লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে হঠাৎ লকডাউন ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন অনেকেই।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) সকালে দেখা গেছে, জেলা শহরের ভাষা শহীদ রফিক সড়কে দু-একটি রিকশা, অটোরিকশা চলাচল করছে। সকাল থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানবাহন চলাচলে তদারকি করছে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা পুলিশ।
এ সময় বিভিন্ন যানবাহন ও মোটরসাইকেল থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং অনেকেই যানবাহনকে ঢাকার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। তবে মহাসড়কে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি, প্রাইভেটকার, দূরপাল্লার পরিবহন বাস, ট্রাক চলতে দেখা গেছে। সড়কে যানবাহন না থাকায় অনেকে হেঁটেই কর্মস্থলে যাচ্ছেন। সেজন্য বিপাকে পড়তে হচ্ছে বহু মানুষকে।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড রাতুল নামে একজন জানান, সাভারের একটি বেসকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। লকডাউনের বিষয়টি না জানার কারণে বিপাকে পড়েছেন তাকে।
আমেনা বেগম নামে আরও এক চাকুরীজীবি বলেন, লকডাউনের খবর শুনি নাই। সকালে নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। রাস্তায় নেই গাড়ি। এখন যাওয়াটা ও মুশকিল হয়ে পড়েছে। এজন্য বিপাকেই পড়তে হয়েছে।
সকালে ঢাকার অন্যতম প্রবেশ পথ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী এলাকার রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এই মহাসড়কে ঢাকার মধ্যে চলাচল করা বাসগুলোকে দেখা গেলেও দূরপাল্লার বাস সেভাবে চোখে পড়েনি।
রনি নামে এক বাসিন্দা বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা আসবেন রনি। বহু চেষ্টা করেও বাসের দেখা মিলেনি। পায়ে হেটে রওনা হয়েছি। দেখি কতদূর যাওয়া যায়।
ঢাকার লালবাগে যাওয়ার জন্য মুন্সিগঞ্জের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপেক্ষা করছেন কয়েকজন। তারা বলেন, এখন কেমনে যামু? সকাল থেকে বসে আছি। কোনো গাড়ি চলতাছে না। এই লকডাউনের জন্য খুব ভোগান্তিতে পড়েছি।
চেকপোস্টে দায়িত্বরত ডেমরা ট্রাফিক জোনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিষ্ণু শর্মা বলেন, নির্দেশনা রয়েছে ঢাকা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যেতে পারবে না এবং কোনো বাস ঢাকায় ঢুকতেও পারবে না। আমরা সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছি।
লকডাউনের আওতাভুক্ত জেলাগুলো হলো- মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ।